
এআই এজেন্ট হলো একটি কমপিউটার প্রোগ্রাম, যা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য একাধিক কাজ সম্পন্ন করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে এআই এজেন্টগুলো ‘অটোনোমাস’ বা স্বনিয়ন্ত্রিত হয়, অর্থাৎ এরা নিজে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে কাজ করতে পারে। এই সক্ষমতা ব্যবহারকারীদের জন্য সময় ও শ্রম সাশ্রয় করে।
চ্যাটজিপিটি’তে ‘অপারেটর’ যুক্ত হলেও আপাতত শুধুমাত্র ‘চ্যাটজিপিটি প্রো’ গ্রাহকরাই এটি ব্যবহার করতে পারবেন। চ্যাটজিপিটি প্রো’র সাবস্ক্রিপশন ফি মাসে ২০০ ডলার। তবে ওপেনএআই জানিয়েছে, ভবিষ্যতে চ্যাটজিপিটি’র সকল ব্যবহারকারীর জন্যই ‘অপারেটর’ উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ওপেনএআই জানিয়েছে, ‘অপারেটর’ এআই এজেন্টটি শিগগিরই চ্যাটজিপিটি ব্যবহারকারী আছে এমন প্রায় সব দেশেই পৌঁছে যাবে। তবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ), সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, আইসল্যান্ড ও লিচেনস্টাইন—এই ৫টি অঞ্চলে এটি এখনও পাওয়া যাবে না।
‘অপারেটর’ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের প্রতিটি ধাপে নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। একবার প্রম্পট জেনারেট করে দিলেই এআই এজেন্ট সেটি অনুযায়ী কাজ করবে। এটি ব্যবহারকারীদের সময় ও শ্রম উভয়ই সাশ্রয় করবে।
এআই এজেন্টকে এআই জগতের পরবর্তী জনপ্রিয় টুল হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই এজেন্টের বাজারে তীব্র প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। গুগল, অ্যানথ্রোপিক ও র্যাবিটের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এআই এজেন্ট তৈরি করেছে। অ্যানথ্রোপিক তাদের এজেন্টিক ইনটারফেস এপিআই-এর মাধ্যমে ব্যবহারের সুযোগ দিয়েছে। গুগলের এজেন্টিক এআই প্রোজেক্টটি এখনও অপেক্ষমাণ, অন্যদিকে র্যাবিটের অ্যাকশন মডেলটি ইতোমধ্যেই তাদের ডিভাইস ব্যবহারকারীরা ব্যবহার করতে পারছেন।
চ্যাটজিপিটি বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এআই টুল। ‘অপারেটর’ এআই এজেন্ট যুক্ত হওয়ায় এটি ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতায় কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, সেটিই এখন দেখার বিষয়।
এআই প্রযুক্তির এই নতুন সংযোজন ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এআই এজেন্টের ব্যবহার আরও বিস্তৃত হবে এবং এটি প্রযুক্তি জগতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।