
বিগ ব্যাংয়ের প্রায় এক বিলিয়ন বছর পর, মহাবিশ্বে গ্যাসের স্বচ্ছতা নিয়ে নতুন একটি বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ঘটেছে। নাসার জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের সংগ্রহ করা তথ্য অনুযায়ী, প্রথম মহাবিশ্বের নক্ষত্র এবং ছায়াপথগুলির মধ্যে অবস্থিত গ্যাস, যা আগে অস্বচ্ছ ছিল, এখন সম্পূর্ণ স্বচ্ছ হয়ে উঠেছে। গবেষকদের মতে, এই পরিবর্তনের পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে, ছায়াপথের নক্ষত্রগুলি তাদের চারপাশের গ্যাসকে উত্তপ্ত ও আয়নিত করার মাধ্যমে গ্যাসের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে।
ETH জুরিখের সাইমন লিলির নেতৃত্বে পরিচালিত একটি গবেষণা দল, মহাবিশ্বের “পুনর্আয়নীকরণের যুগ” নামে পরিচিত একটি সময়কাল সম্পর্কে নতুন তথ্য উদ্ঘাটন করেছে। এই সময়ে মহাবিশ্বে গ্যাস অত্যন্ত গরম এবং ঘন ছিল। কয়েক মিলিয়ন বছর পর গ্যাসটি শীতল হতে থাকে, কিন্তু পুনরায় গরম হয়ে আয়নিত হয়ে ওঠে, যার ফলে এটি ধীরে ধীরে স্বচ্ছ হয়ে যায়।
গবেষকরা এই যুগান্তকারী পরিবর্তনগুলির মধ্যে নিশ্চিত প্রমাণ খুঁজছিলেন, যা এখন পাওয়া গেছে। ওয়েবের সাহায্যে এই অঞ্চলের ছায়াপথগুলি তাদের চারপাশের গ্যাসকে পুনর্আয়নিত করতে সহায়তা করেছে এবং এটি মহাবিশ্বের বিশাল এলাকা পরিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছে। ওয়েবের এই অবিশ্বাস্য ছবি এবং তথ্যগুলো গবেষকদেরকে আরও গভীরভাবে মহাবিশ্বের গ্যাসের গঠন এবং অবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ দিয়েছে।
এটি প্রথমবারের মতো নিশ্চিতভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে গ্যাসের এই স্বচ্ছতা সেই সময়কালের শেষে মহাবিশ্বে গ্যাসের বিশাল পরিবর্তনের কারণ হিসেবে কাজ করেছে। গবেষকরা এখন এই পরিবর্তনগুলি এবং কোয়াসারের গঠন নিয়ে আরও বিশদভাবে গবেষণা চালানোর পরিকল্পনা করছেন, যা তাদের পরবর্তী ধাপের গবেষণার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক।
এটি মহাবিশ্বের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ, যা বৈজ্ঞানিক গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে সহায়তা করবে।
সূত্র: esa