
অ্যালবার্ট আইনস্টাইন, বিংশ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিজ্ঞানী, তার সাধারণ আপেক্ষিকতার তত্ত্বে বলেছিলেন, মহাবিশ্বের ভর স্থান-কালকে বাঁকিয়ে দেয়।
এই বাঁকানো স্থান-কালের কারণে আলোও বাঁকতে পারে। আর যখন কোনো দূরবর্তী গ্যালাক্সি এবং পৃথিবীর মধ্যে একটি বিশাল ভর যেমন অন্য একটি গ্যালাক্সি বা কৃষ্ণগহ্বর থাকে, তখন আলো সেই ভরের চারপাশে বাঁকতে থাকে।
এই বাঁকানো আলো আমাদের কাছে একটি রিং এর মতো দেখায়, যাকে আমরা আইনস্টাইনের রিং বলি।
১৯১৯ সালে প্রথম এই ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করা হয়। এই রিংগুলো শুধু দেখতে সুন্দর নয়, বরং মহাবিশ্বের অনেক অজানা তথ্য জানতে সাহায্য করে।
আইনস্টাইনের রিং মূলত গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং এর একটি উদাহরণ। এই লেন্সিং এর মাধ্যমে আমরা দূরবর্তী গ্যালাক্সিগুলোর ভর, আকার এবং গঠন সম্পর্কে জানতে পারি।
এই রিংগুলো আমাদের মহাবিশ্বের অন্ধকার পদার্থের বণ্টন সম্পর্কেও ধারণা দেয়। যা আমরা সরাসরি দেখতে পাই না।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এবং জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের মতো শক্তিশালী দূরবীন ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা নিয়মিতভাবে এই রিংগুলো পর্যবেক্ষণ করছেন।
এই পর্যবেক্ষণগুলো আমাদের মহাবিশ্বের গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কে আরও গভীর জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করে।
প্রতিটি আইনস্টাইনের রিং অনন্য এবং মহাবিশ্বের এক একটি ভিন্ন গল্প বলে।
আরও বিস্তারিত করে লিখুন