কবিতা

অতুলনীয়া মা – তরুণ কুমার ভট্টাচার্য্য

সেই শৈশবের দিনগুলিতে মমতাময়ী মাতৃ-অন্তর সাথে নিয়ে,লন্ঠন হাতে যে মানুষটা একসময় আসতেন বিছানার পাশে,
শায়িত সন্তানের কপালে হাত বুলিয়ে দিয়ে স্নেহ চুম্বনে সিঞ্চিত করতেন,অন্তর দিয়ে উপভোগ করতেন ঘুমন্ত সন্তানের পরম শান্তি!
সে মানুষটা এখনও নীরবে আসেন,
তবে অতি ধীর কম্পিত পায়ে!
বার্ধক্যের সমস্ত প্রতিবন্ধকতাকে মাতৃ-মমতার শক্তিতে দূরে সরিয়ে দিয়ে, স্নেহভরা পরম মমতার আদরে সন্তানের কপালে হাত বুলিয়ে দিতে।
সব মাতৃহৃদয়ে যেন একই স্নেহ-মহাসমুদ্রের অনন্ত ঢেউ খেলে যায়!মায়ামমতার প্লাবনে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সন্তানের অন্তর জগৎ।
এ কোন আশ্চর্য নাড়ীর টান,যা ছিন্ন হওয়ার পরেও সন্তানকে বেঁধে রাখে চিরকাল!নশ্বর জীবনের শাশ্বত নাড়ির টানের এ এক অবিচ্ছেদ্য মহাবন্ধন।
মা-আম্মা-মাদার কিংবা আধুনিকতার মম্ ,যে নামেই হোক সে নামের পরিচয়,
আসলে তিনিই আমাদের গর্ভধারিণী, আমাদের জননী, আমাদের জন্মদাত্রী, আমাদের আত্মার অবিচ্ছিন্ন বন্ধনের একমাত্র পরিচয়।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button