
ঘুমের অভাব শুধু ক্লান্তি বা অবসাদ ডেকে আনে না, এটি আরও অনেক জটিল সমস্যার দিকে ঠেলে দিতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী ঘুমের অভাব ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, এমনকি স্মৃতিভ্রংশের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
ভালো ঘুমের জন্য করণীয়।
১. ঘুমানোর সময়সূচী: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং একই সময়ে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এতে শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি ঠিক থাকে এবং ঘুম ভালো হয়।
২. ঘুমানোর আগে শিথিল হোন: ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে থেকে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, টিভি ইত্যাদি বন্ধ রাখুন। হালকা গরম পানিতে গোসল, ধ্যান বা বই পড়ার মতো শিথিল করার কাজ করুন।
৩. ঘুমানোর পরিবেশ: ঘুমানোর ঘরটি অন্ধকার, শান্ত এবং আরামদায়ক তাপমাত্রার হওয়া উচিত। অতিরিক্ত আলো এবং শব্দ ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
৪. খাদ্যাভ্যাস: ঘুমানোর কমপক্ষে দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। ক্যাফেইন এবং অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন, বিশেষ করে রাতের বেলায়।
৫. ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং ঘুমের গুণগত মান উন্নত করতে সাহায্য করে। তবে ঘুমানোর ঠিক আগে ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলুন।
৬. দুপুরের ঘুম: দুপুরে খুব বেশিক্ষণ ঘুমানো রাতের ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। দুপুরে ঘুমাতে হলে ২০-৩০ মিনিটের বেশি ঘুমানো উচিত নয়।
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন?
উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করার পরও যদি আপনার ঘুমের সমস্যা থেকে যায় বা ঘুমের সমস্যা আপনার দৈনন্দিন জীবনে ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলতে থাকে, তাহলে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
ভালো ঘুম সুস্থ জীবনের জন্য অপরিহার্য। সুতরাং, আজ থেকেই ঘুমকে অগ্রাধিকার দিন এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবন উপভোগ করুন।