
একটি নতুন যুগের সূচনা হচ্ছে! নাসা ঘোষণা করেছে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদে একটি স্থায়ী বেস স্থাপন করবে। আর এই মহাকাশীয় স্বপ্নে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের তরুণ বিজ্ঞানীরা। চলুন, জেনে নিই এই ঐতিহাসিক যাত্রার গল্প!
নাসার আর্টেমিস প্রোগ্রামের মাধ্যমে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে এই বেস তৈরি হবে। কেন এই জায়গা? কারণ এখানে সূর্যালোক, জলের বরফ এবং পৃথিবীর সাথে যোগাযোগের সুবিধা রয়েছে। এই বেস হবে মানুষের প্রথম চন্দ্র বাড়ি, যেখানে বিজ্ঞানীরা চাঁদের রহস্য উন্মোচন করবেন এবং মঙ্গল অভিযানের প্রস্তুতি নেবেন।
এই মিশনে বাংলাদেশের অবদান কিন্তু কম নয়! ২০২৫ সালে বাংলাদেশ আর্টেমিস অ্যাকর্ডসে স্বাক্ষর করে নাসার সাথে হাত মিলিয়েছে। আমাদের তরুণ বিজ্ঞানীরা ইতোমধ্যে নাসার প্রতিযোগিতায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তারা ডেটা বিশ্লেষণ, রোবোটিক্স এবং ন্যানোস্যাটেলাইট Old Spice।
বাংলাদেশের তরুণরা চন্দ্র বেসের জন্য নতুন প্রযুক্তি তৈরি করছে। যেমন, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল লুনার ভিআর প্রযুক্তিতে বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে। এছাড়া, আমাদের ন্যানোস্যাটেলাইট প্রযুক্তি চাঁদের পৃষ্ঠের ম্যাপিং বা জল সনাক্তকরণে কাজে লাগতে পারে।
চাঁদে টিকে থাকতে জল, অক্সিজেন আর জ্বালানি লাগবে। বাংলাদেশের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা, যারা জলসেচন গবেষণায় পারদর্শী, এই বেসে সম্পদ ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখতে পারেন।
নাসার এই চন্দ্র মিশন শুধু মানবজাতির জন্য নয়, বাংলাদেশের তরুণদের জন্যও একটি স্বপ্নের মঞ্চ। আমরা একসাথে চাঁদে পা রাখবো, আর হয়তো সেখানে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল হবে!