
রমজান মাস ইসলাম ধর্মের পবিত্রতম মাসগুলোর একটি, যা আত্মশুদ্ধি, সংযম ও ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের একটি সুবর্ণ সুযোগ। এই মাসে মুসলিমরা বিভিন্ন ধরনের ইবাদতে মনোনিবেশ করেন। রমজান মাসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো-
১. রোজা রাখা:
রমজান মাসের প্রধান ইবাদত হলো রোজা পালন। ভোর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং সকল প্রকার পাপ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আত্মসংযম চর্চা করা হয়। এটি ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের অন্যতম।
২. তারাবির নামাজ:
রমজান মাসে এশার নামাজের পর অতিরিক্ত তারাবির নামাজ আদায় করা হয়। এটি সুন্নত মুয়াক্কাদা (নিয়মিত পালনীয় সুন্নত) এবং এই নামাজে কুরআন খতমের বিশেষ ফজিলত রয়েছে।
৩. কুরআন তিলাওয়াত:
রমজান মাসে বেশি বেশি কুরআন তিলাওয়াত করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এই মাসে কুরআন নাজিল হয়, তাই এর গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পায়।
৪. দোয়া ও ইস্তেগফার:
রমজান মাসে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা (ইস্তেগফার) ও দোয়া করার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। বিশেষত ইফতারের আগে ও শেষ দশকে বেশি বেশি দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন।
৫. লাইলাতুল কদরের সন্ধান:
রমজান মাসের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোতে লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে বলা হয়েছে। এই রাতের ইবাদত এক হাজার মাসের ইবাদতের সমান সওয়াব বয়ে আনে।
৬. সাদকাহ ও জাকাত প্রদান:
রমজান মাসে গরিব-দুঃখীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে বেশি বেশি দান-সাদকা ও জাকাত আদায় করা হয়। এটি আত্মশুদ্ধি ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
৭. ইতিকাফ:
রমজানের শেষ দশকে মসজিদে অবস্থান করে ইবাদতে মশগুল থাকার নাম ইতিকাফ। এটি সুন্নতে মুয়াক্কাদা কিফায়া। ইতিকাফের মাধ্যমে দুনিয়ার ব্যস্ততা ছেড়ে একান্তভাবে আল্লাহর ধ্যানে নিবিষ্ট হওয়া হয়।
এইসব ইবাদতের মাধ্যমে রমজান মাস আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন ও আখিরাতের সফলতার পথে অগ্রসর হওয়ার একটি অনন্য সুযোগ প্রদান করে।